কোন খাবারে কত ক্যালরি বা ক্যালরির তালিকে তা জানার আগে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে ক্যালরি কি । আসলে ক্যালরি হলো শক্তির একটি একক কারন এটি আমাদের শক্তি দেয় । আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই তা থেকে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তাই হলো ক্যালরি ।
প্রায় সকল ধরনের খাবারে ক্যালরি রয়েছে । নিম্নে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো :
- সাদা চালের ভাত : এক কাপ সাদা চালের ভাতে রয়েছে ২০০-২৪২ ক্যালরি ।
- লাল চালের ভাত : এক কাপ লাল চালের ভাতে রয়েছে ২১৮ ক্যালরি ।
- লাল আটা : একটি লাল আটার রুটিতে রয়েছে ৬০ ক্যালরি
- চালের রুটি : একটি চালের রুটিতে ক্যালরির পরিমাণ ১০৫
- পোলাও: এক কাপ পোলাওতে রয়েছে ১০৫ ক্যালরি
- চিকেন : এক কাপ চিকেনে বিরিয়ানি তে রয়েছে ৪১৮ ক্যালরি ।
- দুধ: এক কাপ দুধে রয়েছে ১৪৬ ক্যালরি ।
- মসুর ডাল : এক কাপ রান্না করা মসুর ডালে রয়েছে ২২৬ ক্যালরি
- রান্না করা মুগ ডাল : রান্না করা মুগ ডারেও রয়েছে ১৫০ ক্যালরি যা এক কাপে পাওয়া যায়
- রান্না করা বুটের ডাল : ১০৭ ক্যালরি রয়েছে এক কাপ বুটের ডালে
- ডিম : একটি সিদ্ধ ডিমে ক্যালরির পরিমান রয়েছে ৭৫
- বেগুনি: একটি বেগুনি বাজিতে ক্যালরির পরিমান রয়েছে ১৪৪
- নিমকি : একটি নিমকিতে রয়েছে ১৬৩ ক্যালরি ।
- নোনতা বিস্কুট: একটি নোনতা বিস্কুটে পাওয়া যায় ৪০ ক্যালরি
এখন কোন খাবারে কত ক্যালরি এটি আরো বিস্তারিত আলোচনা করা যাক
আপনার প্রতিদিন কত ক্যালরির প্রয়োজন এটি কি আপনি জানেন ?
what you can learn in this article
দৈনিক কত ক্যালরি প্রয়োজন

দৈনিক কত ক্যালরি প্রয়োজন এর উত্তর টি হলো : আপনি যদি একজন পুরুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রতিদিন ২০০০-৩০০০ ক্যালরির প্রয়োজন নয়ত আপনার ক্যালরির ঘাটতি দেখা দিতে পারে
- আর একজন মহিলা / মেয়ের জন্য প্রতিদিন ১৬০০-২৪০০ ক্যালরির প্রয়োজন যা তার বিভিন্ন খাদ্য থেকে শরীলে সঞ্চয় হয় ।
- একজন বাচ্চার জন্যও কিন্তু ক্যালরি প্রয়োজন হয় । তাই গবেষণায় দেখা গেছে ১-১০ বছর এর মধ্যে শিশুদের প্রতিদিন ১০০০ ক্যালরির প্রয়োজন হয়।
- আর যাদের বয়স ১৬-১৮ তাদের জন্য ক্যালরি প্রয়োজন ৩২০০।
- আসলে বয়স অনুযায়ী মানুষের ক্যালরি প্রয়োজন হয় । সব বয়সের মানুষের জন্য সমান ক্যালরি প্রয়োজন হয় না ।
- আর ১৯-২৫ বছর যাদের বয়স তাদের জন্য ক্যালরি প্রয়োজন ২০০০-২০২২ ।
এটি থেকে একটি বিষয় সম্পর্কে ধারনা হলো যে বয়স যত কম হয় ক্যালরির চাহিদা ততো বেশি হয় আর বয়স যত বেশি হয় ক্যালরির চাহিদা কমতে থাকে । তাই শিশুদের কে পর্যাপ্ত পরিমানে ক্যালরি দিতে হবে এবং তাদের যখন বয়স হবে এই ক্যালরির চাহিদা কমতে থাকবে ।
ক্যালরির অভাব বোঝার উপায়
কোন খাবারে কত ক্যালরি এটি তো জানা হলো তবে সঠিক মাত্রায় ক্যালরি না খেলে কি হবে জানেন ?
ক্যালরি না থাকার কারনে আপনার কি কি সমস্যা হতে পারে ??
তাই জানতে হবে ক্যালরির অভাব বোঝার উপায় গুলো হলো: কোষ্ঠ্য কাঠিন্য , ঘন ঘন চুল পড়া , রাতে ঘুমের সমস্যা হবে , ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে যেতে পাড়েন ।
- চুল পড়া : অতিরিক্ত চুল পড়া ক্যালসিয়ামের অভাবকে ইঙ্গিত করে । আপনার যদি ক্যালসিয়ামের অভাব থাকে তাহলে আপনার ওজন কমতে থাকবে আর আপনার চুলও পেড়তে থাকবে । এর কারন হলো ক্যালরি শরীলের তাপমাত্রা বঝায় রাখতে সাহায্য করে আর যখন শরীল সঠিক মাত্রায় না পায় তখনিই আপনি এই সমস্ত সম্যায় ভুগবেন ।
- কোষ্ঠ্য কাঠিন্য : খাবারের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দেখা দিতে পারে । শরীলে যদি সঠিক মাত্রায় ক্যালরি না পায় তাহলে প্রথম লহ্মণ হিসাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায় । এছাড়াও কার্বহাইড্রেট এর চাহিদা পূরণ না হলেও এই রোগ দেখা দিতে পারে ।
- ঘুমের সমস্যা : ঘুমের সমস্যা অনেক কারনে দেখা দেয় । তবে বেশির ভাগ হ্মেত্রে টেনশন , খাদা ভাব নিয়ে ঘুমানো , শরীল দুর্বল , পুষ্টির অভাব ইত্যাদি কারনে ঘুম ধরে না ।আর এই লক্ষনগুলো মূলত সঠিক মাত্রায় ক্যালরি না থাকার কারনে হয়ে থাকো । তাই আমাদের কোন খাবারে কত ক্যালরি এই বিষয়ে নজর দিতে হবে যেন সঠিক মাত্রায় ক্যালরি পেতে পারি ।
kon khabare koto calorie
আমাদের খাবরের ক্যালরি মনে রাখা অনেক কঠিন তাই আমরা নিচে কিছু প্রচলিত খাবারের তালিকা দিচ্ছি যেখানে kon khabare koto calorie এইটা বুঝতে সহজ হবে ।
যেমন : প্রোটিন , কার্বোহাইড্রেট , সবজি , মিষ্টি খাবার ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হবে ।
প্রোটিন :
৫০ গ্রাম মাছে পাওয়া যায় ৫৫ ক্যালোরি
৩০ গ্রাম মটনে পাওয়া যায় ৭৫ ক্যালোরি
আমাদের প্রতিদিনের খাবার ডিম । একটি ডিমে রয়েছে ৫০ ক্যালরি । তাই প্রতিনি একটি করে ডিম খাওয়া উচিত ।
মিষ্টি খাবার :
৩০০ ক্যালরি পাওয়া যায় ৫০ গ্রাম গাজরের হালুয়াতে ।
১৮০ ক্যালরি পাওয়া যায় ১০০ গ্রাম ক্ষিরে ।
২০ গ্রাম জিলাপিতে পাওয়া যায় ১০০ ক্যালরি ।
পানীয় খাবারের ক্যালরির তালিকা :
১৫০ ক্যালরি পাওয়া যায় ৩৫০ মিলিলিটারের বিয়ারে
২০০ মিলিলিটারের কোকাকোলায় পাওয়া যায় ৯০ ক্যালরি
৮৫ ক্যালরি পেতে পারেন ১০০ মিলিলিটার ওয়াইন খেয়ে
হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে
কোন খাবারে কত ক্যালরি বা হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে তা নিচে আলোচনা করা হলো :
হিমোগ্লোবিন কি ?
হিমোগ্লোবিন হলো এক প্রকার প্রেটিন যা আমাদের কাছে পরিচিত মেটালোপ্রোটিন নামে ।
হিমোগ্লোবিন রক্তের লোহিত কোণিকায় থাকে যার ফলে রক্তের যে ঘনত্ব প্র্রয়োজন তা বজায় রাখতে সহযোগিতা করে ।
আমরা যে রক্তের লাল রঙ্গ দেখি তা মূলত হিমোগ্লোবিন এর জন্য । আমাদের শরীলে দুই ধরনের প্রোটিনের জন্য হিমোগ্লোবিন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে । একটি হলো টারশিয়ারী অন্যটি হলো কোয়াটানার্রী । হিমোগ্লোবিন আলফা হেলিক্স নামের একধরনের এমিনো এসিড উৎপন্ন করে যা প্রোটিনের স্থায়িত্ব প্রধান করতে সাহায্য করে ।
এই থেকেই বোঝা যায় আমাদের সাস্থ্যের জন্য হিমোগ্লোবিন কতোটা গুরুত্বপূর্ণ । তাই হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন কোন খাবারে তা জনা আবশ্যক ।
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
- ভিটামিন সি
- ফলিক এসিড
- আপেল
- বেদনা
ইত্যাদি খাবারে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পায় ।
কোন খাবারে ইনসুলিন তৈরি হয়
ইনসুলিন তৈরি হয় লাল বাধাঁ কপি , ঢেরস , করলা , দারুচিনি , হলুদ ইত্যাদি খাবারে । আসুন জেনে নেই কোন খাবারে ইনসুলিন তৈরি হয় কিভাবে এবং এই খাবার গুলো কি ভাবে খাবেন ।
বাধাঁ কপি : যাদের ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সার রয়েছে তাদের জন্য লাল বাধাঁ কপি খুবিই গুরুত্বপূর্ণ । লাল বাধাঁ কপিতে থাকে প্রাকৃতিক লাল পিগম্যান্ট যা ইনসুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে ।
ঢেরস : ঢেরস রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ইনসুলিন উৎপাদন করতে সাহয্য করে থাকে এছাড়া ইনসুলিন নিসরনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ।
করলা : করলা আমাদের অগ্নাশয়কে উত্তেজিত করতে পারে যা চারানটি , ভিসিন এবং পলিপেপটািইড-পি এই উপাদন সহযোগিতা করে থাকে ।
দারুচিনি : দারুচিনি কোষকে ইনসুলিনের প্রতি সংবদনশীল করে থাকে এবং অগ্নাশয়েও ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যাপক ভাবে সহযোগিতা করে থাকে ।
হলুদ : হলুদ ইনসুলিন তৈরি করে যা হলুদে থাকা কারকিউমিন সহযোগিতা করে ।
কোন খাবারে কত প্রেটিন
কোন খাবারে কতো প্রোটিন বা কোন খাবারে কত ক্যালরি যা আমাদের বেচে থাকার জন্য জানা জরুরি । কারন যদি আপনি বেচে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে । আর সুস্থ থাকার মূল চাবি কাঠি হলো জানতে হবে এবং মানতে হবে ।
প্রানিজ প্রোটিন জাতীয় খাবারে কিছু তালিকা দেওয়া হলো : যেমন: মাছ , ডিম , দই , চিংড়ি ইত্যাদি ।
মাছ : মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রটিন তাই প্রতি ২৫ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে ।মাছ আমাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরনের পাশা পাশি চোখ ,ত্বক ইত্যাদি ভালো রাখতে সহযোগিতা করে । আপনার হৃদপিন্ড সচল রাখতে মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে ।
চিংড়ি মাছ : চিংড়ি মাছে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এছাড়াও ২৪ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে । তাই আমাদের প্রতিদিন চিংড়ি মাছ খাওয়া দরকার ।
দই : দই এর প্রধান উৎস হলো দুধ । দই এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।