হার্টের রোগীর খাবার তালিকা বিষয়ে আলোচনা করা হলো : স্বাস্থ্য আমাদের সম্পদ, আর আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো হৃদয়।
আর আমাদের হার্টের রোগের প্রধান কারণ হলো খাবারে অতিরিক্ত মশলা যোগ করা, খাবারের পর মিষ্টি খাওয়া, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, ইত্যাদি হল ভারতীয় পরিবারকে অনুসরণ করা যা আমাদের কিছু অভ্যাস।
সবাই বলে থাকে যে ব্যায়াম, জীবন ধারা ও খাদ্য হৃদরোগ উপসাগরের রাখার মূল কারণ। আপনাকে একটা কথা কেউ বলে না কিভাবে হৃদরোগ এড়াতে কীভাবে ডায়েট পরিবর্তন করবেন।
হৃদরোগ আপনার একাধিক কারণে হতে পারে যেমন রক্ত চাপ কমে যাওয়া, হৃদপিন্ডের টিস্যুতে দাঁগ পড়ে যাওয়া, হৃদপিন্ডের পেশি ঘন হয়ে যাওয়া, রক্ত জমাট বেধে যাওয়া ইত্যাদি।
হৃদরোগ এড়ানোর জন্য হার্টের রোগীদের স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অস্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাসের কারণে আমাদের হার্টের রোগ হয়ে থাকে। যেমন
- অতিরক্ত অ্যালকোহল ব্যবহার করা
- ধূমপান করা
- অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা
- মানসিক চাপ ও চাপ কমানো
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া
- হৃদরোগের শরীরের জন্য সর্তকতা লক্ষণ করা।
আপনি যদি হার্টের রোগী হন। তাহলে হার্টের রোগীর খাবার তালিকা গুলো নিচে দেওয়া হলো :
মাংস এবং মাছ : আপনার কোলেস্টেরল এবং রক্ত চাপ কমাতে চর্বিহীন মাংস, মাছ ডিম এই খাবার গুলো সাহায্য করে।
বাদাম এবং বীজ : বাদাম, চিনাবাদাম, কুমড়ার বীজ, তীলের বীজ, শনের বীজ সবগুলো হার্ট স্বাস্থ্যকর ভালো খাবার।
সিরিয়াল : গোটা শস্য এবং তাদের পণ্য সে গুলো হলো জোয়ারা, বাদামী চাল, রাগি, সুজি, লাল চাল, রাজগিরা ডালিয়া ওটস, এবং কিট্টু ফাইবারের যা হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য বাড়াতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
শাকসবজি : আমাদের সবার উচিত নিয়মিত শাকসবজি খাওয়া। যেমন লাউ, ফুলকফি, বাঁধাকপি, বীটরুট, লেডিফিংগার এগুলো ভিটামিন এর জন্য ভালো এবং অ্যান্টিঅক্সিজেন সমৃদ্ধ।
চিনি খাওয়া : আপনি চাইলে প্রতিদিন দুই চামচ চিনি খেতে পারেন।এতে করে আপনি মুক্তি পেতে পারেন।
what you can learn in this article
হার্টের রোগীর খাবার কিভাবে খেতে হয় সেটা কি জানেন ?
তেল খাওয়া : প্রতিদিন ৩ চামচ তেল খেলে নিম্ন রক্ত চাপ বজায় রাখার জন্য উপযুক্ত।
ফল : ফল আমাদের দেহে অনেক পুষ্টি যোগায়। হার্টের রোগীর খাবার তালিকা তে যে ফল গুলো রয়েছে তা খেলে আপনার রক্ত চাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা সাভাবিক থাকে । যেমন: আপেল, কমলা, ডালিম, পেঁয়ারা, পেঁপে, লাশপাতি, বেরি, অ্যাভোকাডো আঙ্গুর।
আপনার যদি হার্টের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে কোন কোন খাবারে আইটেম গুলি আপানার খাওয়া উচিত না। সে গুলো হলো :
- মাখন
- ঘন গ্রেভি খাবার
- ভাজা ভুজি
- আইসক্রিম, কুকিজ, আলু চিপসের মতো প্যাক করা জাঙ্ক ফুড।
- কেচাপ ও মেয়োনিজ।
- প্রক্রিয়াজাত মাংস।
বাইপাস রিং ছাড়া হার্টের চিকিৎসা

হার্ট আমাদের দেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা ছাড়া আমাদের বেচে থাকা অসম্ভব। আর কোন ভাবে যদি আপনার হার্টের ক্ষতি হয় তাহলে আপনার মৃত্যু অবধারিত।
অনেকেই এই হার্টের সমস্যার কারণে অপারেশন করে থাকে। তবে একটি উপায়ে আপনি অপারেশন ছাড়াই রক্তনালীর হার্ট ব্লকের চিকিৎসা করতে পারেন।
- হার্ট আমাদের শরীরের রক্ত সরবাহার কাজ করে থাকে। আপনার হার্টের উপরে অবস্থিত করোনারী রক্তনালী থেকে তার রক্ত সরবাহার পেয়ে থাকে।
- এই রক্তনালী গুলো বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে যায় তার কারণে প্রয়োজন তুলনায় হার্টের রক্ত সরবাহার কম হয় বলে বুকে ব্যথার সৃষ্টি হয়। যাকে এনজাইনা বলে। হার্টের রোগীর খাবার সম্পর্কে জনলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পাড়েন ।
- হার্টের কোন একটি রক্তনালী যদি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তবে এই রক্তনালী দিয়ে হার্টের যে অংশ পরিবাহিত হত যা দূর্ভল হয়ে কোষ গুলো পচে যেতে থাকে।
- যাকে আমরা হার্ট অ্যাটাক বলে থাকি। হার্ট অ্যাটাক খুব বিপদজনক। হার্ট অ্যাটাকের কারনে ১০/১৫ % মৃত্যু হয়।
- এ্যানজাইনা বা বুক ব্যথা শুরু হওয়ার পরে এনজিওগ্রাম করে আমাদের হার্টের রক্তনালী দেখে নিয়ে রক্তনালীর ব্লক অনুযায়ী রিং পরানো বা ষ্টেন্টিং করা হয় এবং বাইপাস সার্জারি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
- এ্যানজিওগ্রাম করার পরেও রক্তনালী ব্লক থাকা সত্বেও ১০ ভাগ মানুষ কে রিং বা বাইপাস সার্জারি করা সম্ভব হয় না। বাইপাস বা রিং লাগানোর পরেও একটা সময় রক্তনালী ব্লক পুনরায় বন্ধ হয়ে বুকে ব্যথা শুরু হতে পারে।
- হার্ট অ্যাটাকের ফলে আপনার মাংসপেশি নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে হার্টের সংকোচন একবারে কমে যায়। সে ক্ষেত্রে কোন অপরেশনের ঝুকি নিয়া সম্ভব হয় না। এ সকল ক্ষেত্রে হার্টের রোগীর খাবার ঔষুধের উপরেই হার্টের রোগীদের নির্ভর করতে হয়।
- ঔষুধের মাধ্যমে সকল হার্টের রোগীদের বুক ব্যথা কমানো সম্ভব হয় না। এ সময় ইসিপি হার্ট থেরাপি ভূমিকা রাখে। সকল রোগীদের জন্য আশার আলো জাগিয়েছে এই ই এস এম আর হার্ট থেরাপি।
কাদের জন্য প্রয়োজন এই থেরাপি
- রক্তনালী ব্লকের জন্য যারা বাইপাস বা রিং বসিয়ে ফেলেছেন পরবর্তিতে আবারো আপনি বুকের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন।
- যাদের রক্তনালীর সর্ম্পূন ভাবে বন্ধ ক্যালসিয়াম জমে গেছে তাই সেখানে রিং বসানে যাচ্ছে না।
- হার্টের ছোট ছোট রক্তনালী গুলো ব্লক থাকার কারণে সেখানে রিং বসানো যাচ্ছে না।
- যাদের হার্টের রক্তনালীতপ ব্লক রয়েছে কিন্তু রক্তনালীর গঠন বৈশিষ্ট্যের কারনে সেখানে
- বাইপাস বা রিং সার্জারি করানো যাচ্ছে না এর জন্য আপনি হার্টের রোগীর খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা করতে পারেন।
- যাদের হার্ট অ্যাটাকের কারণে হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা কমে যাবার কারনে বার বার শ্বাস কষ্ট হচ্ছে বিদায় অন্য কোন অপারেশন ঝুকিতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
হার্টের ব্লক দূর করার খাবার
আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস ও অনিয়মিত শরীরচর্চার কারণে দেহে কোলেস্টেরল মাত্রা বজায় থাকে। যদি আপনার হার্টের কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে আপনার স্ট্রেকের সম্ভবনাও রয়েছে।
আপনার হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে যদি আপনি ফ্যাট জমা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন। এই অবস্থায় যদি আপনি ডায়েটে এই খারাব গুলো রাখতে পারেন হার্ট ব্লক দূর করা যেতে পারে।
চলুন জেনে নেই কি খাবার খেলে আমাদের জন্য ভালো
- দুধ ও আমলকী : আপনি দুধের সাথে আমলাচুর্ণ মিশিয়ে খেলে এতে করে আপনার হার্টের সমস্যা দূর হবে।
- লেবু পানি : আপনি রোজ লেবুর পানি পান করে এতে করে আপনার শরীর থেকে কোলেস্টেরল দূর হয়। লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার হার্ট ব্লকের ঝুকি কমায় ।
- রসুন : রসুন আমাদের শরীর থেকে বর্জ পদার্থ বের কর তে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত রসুন খেয়ে থাকে তাহলে কোলেস্টেরল মাত্রা একবারে কম থাকে। আপনি যদি রোজ জলের সাথে এক বা দু কোয়া রসুন খান খুব উপকার পাবেন। রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের হার্টের সমস্যা দূর করে।
- লাউ : লাউ আপনার মোটা হওয়ার হাত থেকে বাচায় এবং হার্ট ব্লক দূর কারতে সাহায্য করে। আপনি লাউকে সিদ্ধ করে সাথে ধনেগুঁড়া, ধনে পাতা ও হলুদ মিশে সাপ্তাহে দুইবার খেতে পারেন এতে করে আপনার হার্ট ব্লক থাকবে না।
হার্টের রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
মধু হলো সবচেয়ে উপকারিতা একটি খাবার। মধু খেলে আপনি হার্ট ব্লক থেকে দূরে থাকতে পারবেন। চলুন জেনে নেই
আমরা জানি ডায়েটের জন্য মধু খাওয়া কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিবৃদ্ধির জন্য ও ওজন হ্রাসের জন্য খাদ্য তালিকায় মধু খেতে বলেন পুষ্টিবিদারাও। আপনি সকালে উঠে পানিতে লেবু-মধু মিশিয়ে খেয়ে ব্যায়াম করলে দেখবেন দিগুন উৎসাহে ব্যায়াম করছেন।
ব্যায়াম শেষ করে আবার গ্রিন টিতে মধু মিশিয়ে খান। আপনার শরীরে যেমন শক্তি আসবে তেমন অনেক পুষ্টি হবে। সকালের নাস্তার সাথে আপনি মধু খেতে পারে এতে করে সারা দিনিই শক্তি জোগাবে। এমন কি আপনার অফিসে ঘুম ভাবটাও কেটে যাবে।
কাজ করে অনেক আন্দন পাবে না। প্রচুর চিনি দিয়ে চা বা কফি বানানোর চাইতে মধু অনেক ভালো। মধু আপনার শরীর কে গরম রাখে।
হার্টের রোগীর খাবার দেহের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়। আপনার খাঁটি মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে যা উপকারে কোন শেষ নেই। আপনি নিয়মিত মধু খেতে পারে।
আপনি যদি নিয়মিত মধু খান তাহলে খারাপ কোলেস্টেরলের ক্ষতি করার ক্ষমতা ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণা করে জানা গেছে স্ট্রেক, ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমতে পারে বলে জানা গেছে।
তবে আমরা অনেকই মনে করে থাকি মধু খেলে ওজন বেড়ে যায় এবং তাতেই হয় হৃদরোগ। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান যে মধু খেলে পুষ্টহীন ক্যালরি বদলে পুষ্টি কর ক্যালরি প্রবেশ করে। অল্প মধু খেলে ওজন বাড়ার কোন সম্ভবনা নেই এবং ওজন একটু কমবে।
কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয়
হার্টের রোগ ভালো রাখার জন্য আপনি এই খাবার গুলো খেতে পারেন
১. বাদাম : বাদাম হার্টের জন্য খুব উপকারি। বাদামে রয়েছে আনস্যাচুরেটেড যা হার্টের জন্য খুব উপকারি। গবেষণা করে জানা গেছে কেউ যদি সাপ্তাহে পাঁচবার বাদাম খেয়ে থাকে তার ২৫ থেকে ৩৯ শতাংশ মৃত্যু কম হয়ে থাকে।
হার্টের রোগীর খাবার যেমন নিয়মিত বাদাম খেয়ে থাকে তাহলে শরীরে কোলেস্টেরল এইচডিএল এর মাত্রা বেড়ে যায়। বাদাম হলো লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ খাবার যা আমাদের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ রাখে। তবে আপনি চীনাবাদাম প্রতিদিন খেতে পারেন।
২. টক দই : চিনি ছাড়া দই অর্থাৎ যাকে বমরা টক দই বলে থাকি। টক দই হৃদপিন্ডের পাশাপাশি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। যারা হৃদরোগ ও উচ্চ রক্ত চাপে ভুগছেন তাদের জন্য টক দই খুব উপকারিতা।
টক দই আপনার শরীরের পরিপাকতন্ত্রের সুস্থসা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সে সঙ্গে এটি আপনার ত্বকের জন্য ভালো। তাই আপনি প্রতিদিন এক কাপ টক দই খাবেন এতে আপনার অনেক উপকার হবে।
৩.গাজর : গাজর আপনার দেহের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। গাজরে মধ্যে যে ধরনের আশ পাওয়া যায় তা কোলেস্টেরল কামাতে সাহায করে থাকে।
৪. মিষ্টি আলু : আমরা সাধারণত মনে করে থাকি মিষ্টি আলু খেলে ডায়াবেটিস হতে পারে। কিন্তু মিষ্টি আলু এর বিপরীত। কারন মিষ্টি আলু হলো লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খাবার। মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ, লাইসোপেন, দ্রবণীয় আশ যা হার্টের জন্য উপকারি।
৫. সামুদ্রিক মাছ : মাছের ভিতরে রয়েছে অনেক প্রোটিন। সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ যা হার্টের জন্য উপকারি। বাংলাদেশে কোরাল, রুপঁচাদা, রূপসা, লাক্ষা জাতীয় মাছ এগুলো আপনি খেতে পারেন। আপনি চাইলে বিদেশি মাছও খেতে পারেন।
৬. কমলা : হার্টের রোগীর খাবার যেমন কমলায় আছে পেকটিন নামে একধরনে আশ যা আপনার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। আরো যেমন পটাশিয়াম যা ব্লাড প্রোসর কমাতে সাহায্য করে।